উপজেলা প্রশাসনের পটভূমিঃ
নামকরণঃ ফুলছড়ি উপজেলা নামকরণের তেমন কোন ইতিহাস পাওয়া যায় না। ১৮৩৬ সালে যমুনা সৃষ্টির পূর্বে গাইবান্ধা অঞ্চলে ঘাঘট,আলাই, জিঞ্জিরাম,বাঙ্গালী,মানস, গজারিয়া,আখীরা,নলেয়া,ব্রক্ষ্মপুত্র, তিস্তা ইত্যাদি নদী প্রবাহিত ছিল। কালের বিবর্তনে,ভূমিকম্পে এ সমস্ত ন`রগতিপথের পরিবর্তন হয়। প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও বন্যায় প্রতি বছর নদীবাহিত এলাকায় সৃষ্টি হয় অসংখ্য চর। ব্রহ্মপুত্রের খন্ড খন্ড চরগুলোতে উঠে সাদা কাশফুল তা দেখেই হয়তোবা কোন মিষ্টভাষী এলাকাকে ফুলছড়ি নামে অভিহিত করেছিলেন,তার ইতিহাস পাওয়া যায় না। ১৯১৪ সালে গাইবান্ধা থানা বিভক্ত হয়ে ব্রহ্মপুত্রের তীরে স্থাপিত হয় ফুলছড়ি থানা।
ভোগলিক অবস্থানঃউত্তরে গাইবান্ধা সদর উপজেলা,পূর্বে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার দক্ষিণে সাঘাটা উপজেলা,পশ্চিমে গাইবান্ধা সদর ও সাঘাটা উপজেলা।
বর্তমান উপজেলার ইতিহাস ও সার্বিক তথ্যাদিঃ গাইবান্ধা জেলাধীন ফুলছড়ি উপজেলা ৭৭,৬০০ একর বা ৩১৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত। উপজেলার ০৭ টি ইউনিয়নের মধ্যে এরেন্ডাবাড়ী,ফজলুপুর ও ফুলছড়ি-এ তিনটি ইউনিয়ন সম্পূর্ণভাবে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চরে অবস্থিত এবং গজারিয়া,উড়িয়া ও কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা নদী ভাংগনের শিকার। বন্যা ও নদী ভাংগনে প্রায় সহস্রাধিক পরিবার সর্বস্ব হারিয়ে ফেলে,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হয় ক্ষতিগ্রস্ত, বিলীন। প্রত্যন্ত দূর্গম ও চরাঞ্চল এ উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই নাজুক। উপজেলা সদরের সাথে মাত্র একটি অপ্রশস্ত, জরাজীর্ণ পাকা সড়কের সংযোগ রয়েছে। এসব কারণে স্বাভাবিকভাবে এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে অবস্থান করছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান নিম্ন। শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা,শিল্প কল-কারখানা না থাকা,বন্যায় ফসল হানি হওয়া এবং আবাদি জমি কম থাকা এ উপজেলার অধিবাসীদের অধিকতর দারিদ্র পীড়িত করে রেখেছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস